হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের কেন্দ্রীয় প্রদেশে নিযুক্ত ওয়ালিয়ে ফকীহের প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ দরী নাজাফাবাদী গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত অপরাধের কঠোর নিন্দা জানান এবং আরাক শহরের জনগণকে জায়নবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এই অপরাধগুলো সরাসরি গণহত্যার স্পষ্ট উদাহরণ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর অবসানের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন: নিরস্ত্র ও নিরপরাধ জনগণ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের গণহত্যা, গাজার বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ এবং অন্যান্য মৌলিক অবকাঠামোর ধ্বংস আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আইনসমূহের এক নির্মম ও লজ্জাহীন লঙ্ঘন।
আয়াতুল্লাহ দরী আরও বলেন: ইসরায়েলি দখলদার সরকারের এই অমানবিক হামলা আজ মুসলিম জাতিকে শোকাহত করেছে। আবারও ইমাম খোমেইনীর সেই বিখ্যাত উক্তি প্রমাণিত হয়েছে— “এই সরকার একটি ক্যান্সার জাতীয় গাঠনিক সমস্যা”, যা এই জালিম সরকারের বিলুপ্তির অপরিহার্যতা তুলে ধরে।
তিনি আরও বলেন: এই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি এবং স্পষ্ট অপরাধসমূহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নীরবতা এবং বিশেষ করে আমেরিকার নির্লজ্জ সমর্থনের ফসল। এই জুলুম ও বর্বরতার অবসান ঘটাতে হলে একটি শক্তিশালী ও বৈশ্বিক অঙ্গীকার প্রয়োজন, যা সর্বাগ্রে মানবাধিকারের দাবিদারদেরই সম্বোধন করে।
শেষে তিনি বলেন: যখন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনগুলো গাজার গণহত্যা নিয়ে নিশ্চুপ থাকে এবং এই অভিশপ্ত সরকার নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে, তখন প্রতিটি মুসলমান এবং স্বাধীন মানুষের দায়িত্ব হয়ে যায়—নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা এবং গাজার নির্যাতিত জনগণের কান্না বিশ্বজুড়ে পৌঁছে দেওয়া।
আপনার কমেন্ট